তোমাকে রৌদ্রময় জীবনের গল্প বলিনি বহুকাল,
চোখ যেমন দেখেনা সবচেয়ে নিকট,তেমনি দেখেনা
বেশী দুর ও।
বড় মধ্যবিত্ত চোখ আমাদের।আর রুপকার সময়,
কথা বলে কেবলি সুখ আর দুঃখের ভাষায়।
জন্ম থেকেই অন্ধ আর শরীরহীন।
তবু তার বুকেই লেগে থাকি কিছু কাল,ফুঁটে
থাকা শিমুল আর পলাশের মত।
সময়ের বোঁটার সাথে আমাদের বসবাস,
জীবনের নামে ,সে তো সময়েরই এক টুকরো রেনু বই
তো নয়।
ঝরে পড়ার ক্ষন অবধি যার ওঠানামা।
সময়ের এই ভগ্নাংশ যেন সুর্যের কাছে জোনাকীর
আলো,
তার ও কিছু টা তোমার,কিছুটা আমার,
কত সামান্য সে দান কৃপন বিধাতার,
তাই নিয়ে কত অভিমান না পাওয়ার,
কত অহংকার নিজস্ব বিনির্মানে,অবিরত
প্রচেষ্টা দাড়াবার,সময়ের পাথরে একটু আচঁড়
,না হয় রয়ে যাক কিছুকাল।
তোমার আমার সবার।
তবু কুল কুল বহে জীবনের ভরা নদী,
আছে ছলাৎ ছলাৎ জীবনের জয়গান ,কলোরব।
আছে ঝড়, তবুও বহমান নিরবধি।
কিনারে কিশোর রাখে সংখ্যায় হিসাব ভেসে যাওয়া
খড় কুটোর
কখনও ঢেউ ,পাক খাওয়া জলের নাচ, কখনও পাল আর
নৌকোর,
সকাল দুপুর বিকেল, নতুন করে পুনরায়
অজস্রবার।
নদী তবু নির্বাক সময়ের মত।
এক দিন ভোরে সহসা দুত্যিময় হয়ে উঠে সংখ্যার
অসংখ্য হিসাব কিশোরের কাছে,
পার হয়ে যাওয়া ভেসে যাওয়া সমস্ত খড় আর কুটোর
হিসাব। নদী ও নারীর হিসাব।
যে নারী ধারন করেছিল বীজ,পুরুষ দিয়েছিল তারে
ভালবেসে,
কোন এক বৈশাখে ভেসে যেতে দেখেছিল তাদের সে
সম্পর্করে।
বুঝেফেলে সে সময়ের যোগফল,
অসংখ্য হিসেবের চলাফেরা মাথা ভরা সুক্ষ
শিরায়।
যখন সে ফেরে একা ,কৈশোর আর যৌবনেরে পাশে
ফেলে,
শুধু বীজ দিয়ে বুঝিবা শোধ হয় সময়ের ঋণ !
আর যত আয়োজন,তোমার আমার,
পশু প্রানী পুষ্প আর বনস্পতির…
তবু আগোছাল পঙ্ক্তি আর
অসমাপ্ত পদ্য দিয়েই সমাপ্ত হয় পথ ও
একদা রোদমাখা জীবন।
1 comment:
Post a Comment