কুড়েঘরটা অাজ অামার মত

গল্প টা সেদিনই শেষ হতে পারতো
যেদিন তুমি প্রথম দেখেছিলে
অামাদের পাহাড়ের পা ছোয়া কুড়ে
ঘরটার পাশে একটি নীল সাপ,
ভীশন অাদরে রোদ পোহাচ্ছে
সকালের কচি রোদ।
তুমি একদম কেঁপে উঠলে না,
তোমার গায়ের লোম গুলো দাড়ালো না,
নির্বিকার তুমি চেয়ে রইলে,
সাপটিও পালাবার কোন পথ খুঁজল না
যেন তোমরা বহুদিন চেনা।
তার পর প্রায় প্রতিদিন
তোমাদের দেখা হোত
কি সব কথা হোতো ছাই পাশ।
তোমার চলনে এলো সর্পিল রং।
নীল সাপটা অারও গাড়ো নীল হতে থাকলো,
তুমি অারও ভয়হীন দিদ্বাহীন হয়ে উঠলে।
একদিন রুপালী চাঁদের অালোয়
তোমার ঘুমের শরীর জড়িয়ে নিলো
নীল সাপ টার বাহু হীন দেহ।
তুমি নিথর ঘুমে জড়িয়ে গেলে
কুয়াশার রাতে।
ভোরের নির্জনতা ভেংগে ছোপ ছোপ নীল
চোখে এসে পড়ে,
ছড়িয়ে এদিক সেদিক সারা গায়।
তুমি তখনো নিথর,
অসাড় দেহ প্রানহীন,
বিষাক্ত লালায় মরনের ঘ্রান।
সাপের শক্তি বিষে তুমিও জানো
তুমি জানতে ওটাই তার ক্ষুধা
ওটাই তার প্রেম।
কতবার তুমি ফিরতে চাইলে
জীবনের কাছে তুমি কতবার সময় চেয়েছ
ফিরবে বলে ভেবেছ
একান্তে কতবার কতদিন।
তবু কি যেন কি ভেবে
তোমার ফেরা হোলো না।
গল্পটা সেদিনই শেষ হতে পারত
নিজের জন্য জীবন তুমিও নিতে পারতে,
ভালোবেসে একরাশ মৃত্যু খুঁজে নিলে
সেদিন তোমার হাতে ছিলো মৃত্যুর বান,
শুরুতে তুমিও পারতে অব্যর্থ নিশানায় ছুড়ে দিতে
সংহারী মৃত্যুর ফাঁদ।
জীবন অার মৃত্যুর মাঝামাঝি
একবার দাড়াতে দৃঢ়তায়,
ভালোবাসাহীন, কস্ট হীন তাচ্ছিল্যের ঘেরটোপে।
কুড়েঘরটা অাজ অামার মত একা হোত না। পাহাড়ের পা ছুঁয়ে।

No comments: