প্রিয় অনিরুদ্ধ,
তোমার অামার কবে প্রথম দেখা হয়েছিল।
তোমার হয়ত দিন মনে থাকতে পারে ক্ষন মনে নেই। তোমার ভুলে যাওয়া মন ।
ভুলে যাওয়া তোমার অার পাচটা অভ্যাস এর মত একটি। তুমিই বলতে মানুষ ভুলে যায় নতুন কিছু মনে রাখার জন্য। সব কিছু মনে রাখব মেমরীতে এত স্পেস কোথায়।
তবু কতকিছু তুমি কোনদিন ভোলো নি। ভুলতে না।তুমি কোনদিন ভুলতে পারো নি সেই সব।
অামার ভুল গুলো তোমার বড় প্রিয় ছিলো।
অামার বাজে অভ্যাস গুলো তোমার বড় উপহাসের ছিলো।
কিন্তু অামি চাইতাম অামার ভালো কিছু তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে ঘন হয়ে ছুয়ে থাকা তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে দিন শেষে ফিরতে চাওয়া তুমি মনে রাখো ,
অামার ছিটকে যাওয়া তুমি এড়িয়ে চলো।
তুমি প্রায়ই বলতে নদীর স্রোত ই অাসল। ঢেউ হতে পারে দক্ষিনে পশ্চিমে এলো মেলো।
তবু শুধু বহমান স্রোতই নদী।
স্রোতই ই বলে নদী কোন দিকে প্রবাহমান।
তোমার হয়ত দিন মনে থাকতে পারে ক্ষন মনে নেই। তোমার ভুলে যাওয়া মন ।
ভুলে যাওয়া তোমার অার পাচটা অভ্যাস এর মত একটি। তুমিই বলতে মানুষ ভুলে যায় নতুন কিছু মনে রাখার জন্য। সব কিছু মনে রাখব মেমরীতে এত স্পেস কোথায়।
তবু কতকিছু তুমি কোনদিন ভোলো নি। ভুলতে না।তুমি কোনদিন ভুলতে পারো নি সেই সব।
অামার ভুল গুলো তোমার বড় প্রিয় ছিলো।
অামার বাজে অভ্যাস গুলো তোমার বড় উপহাসের ছিলো।
কিন্তু অামি চাইতাম অামার ভালো কিছু তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে ঘন হয়ে ছুয়ে থাকা তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে দিন শেষে ফিরতে চাওয়া তুমি মনে রাখো ,
অামার ছিটকে যাওয়া তুমি এড়িয়ে চলো।
তুমি প্রায়ই বলতে নদীর স্রোত ই অাসল। ঢেউ হতে পারে দক্ষিনে পশ্চিমে এলো মেলো।
তবু শুধু বহমান স্রোতই নদী।
স্রোতই ই বলে নদী কোন দিকে প্রবাহমান।
তুমি শুধু অামার ঢেউএ দুলেছে।
তুমি অামার এলোমেলো পাড়ে অাঘাত পেয়েছো জানি।
অামার তুমি হয়ে ওঠার বহতা ,
তুমি কোনদিন খুঁজে পাওনি।
তুমি অামার এলোমেলো পাড়ে অাঘাত পেয়েছো জানি।
অামার তুমি হয়ে ওঠার বহতা ,
তুমি কোনদিন খুঁজে পাওনি।
অামি তোমাকে মোহনা ভেবে বার বার
মিশতে চেয়েছি।মিশে যেতে চেয়েছি নদীর মত।
ছুটে অাসতে চেয়েছি অামার শৈশব কৈশোর নিয়ে।অামার সত্য মিথ্যা ভুলে।
তুমি শুধু যৌবন দেখেছো।
উষ্নতা খুজেছো অন্ধকারে।
অালোর পাশে অামাকে দাড়াতে সংগী করে নিতে পারো নি।
অাজও অামি একা অালো খুঁজি।
তোমার দেয়া অশালীন অন্ধকারে।
মিশতে চেয়েছি।মিশে যেতে চেয়েছি নদীর মত।
ছুটে অাসতে চেয়েছি অামার শৈশব কৈশোর নিয়ে।অামার সত্য মিথ্যা ভুলে।
তুমি শুধু যৌবন দেখেছো।
উষ্নতা খুজেছো অন্ধকারে।
অালোর পাশে অামাকে দাড়াতে সংগী করে নিতে পারো নি।
অাজও অামি একা অালো খুঁজি।
তোমার দেয়া অশালীন অন্ধকারে।
তুমি চলে যাবার কয়েক বছর পর অামি মা হয়েছি।
অামার সন্তানের বাবা অামাদের অাগলে রাখে।
দিন শেষে তার বুকে অামি অাশ্রয়ের চাঁদর খুঁজি।
অামার সন্তানের বাবা অামাদের অাগলে রাখে।
দিন শেষে তার বুকে অামি অাশ্রয়ের চাঁদর খুঁজি।
তবু অামি টের পাই অামার সন্তান তার বাবার মতো নয়। অামার মত নয়।
ওর চলা বলায় কোথায় যেন একটা মর্মান্তিক তাচ্ছিল্য অাছে। যেমনটা তুমি করতে।
ভীশন অাত্মবিশ্বাসী অাক্রমনের ভাষা অামাকে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভীষন নির্দেশ দিতে ভালে বাসে সে।
ভিন্ন যুক্তি সে মানে না। অামি তোমার অসিষ্নুতা দেখি অামার সন্তানের পায়ের ছাপে।
ওর চলা বলায় কোথায় যেন একটা মর্মান্তিক তাচ্ছিল্য অাছে। যেমনটা তুমি করতে।
ভীশন অাত্মবিশ্বাসী অাক্রমনের ভাষা অামাকে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভীষন নির্দেশ দিতে ভালে বাসে সে।
ভিন্ন যুক্তি সে মানে না। অামি তোমার অসিষ্নুতা দেখি অামার সন্তানের পায়ের ছাপে।
কেউ ওর বন্ধু হয় না। অথচ তুমি জানো অামি মানুষের ভালোবাসা সিক্ত মানুষ।মানুষ ছাড়া চলিনি এক পা।
ছোট বড় সম অসম বয়সী সবাই অামার বন্ধু।
যা নিয়ে তুমি বহুবার বলেছ।
কখনো ক্রোধে কখনো উপহাসে।
অামি অনুনয় করেছি কত।সময় চেয়েছি কত।
তবু তোমার কাব্যে ক্ষমার কোন কবিতা ছিলো না।
প্রতি লাইনের শেষ ছিলো তাই নির্মম যবনিকা।
ছোট বড় সম অসম বয়সী সবাই অামার বন্ধু।
যা নিয়ে তুমি বহুবার বলেছ।
কখনো ক্রোধে কখনো উপহাসে।
অামি অনুনয় করেছি কত।সময় চেয়েছি কত।
তবু তোমার কাব্যে ক্ষমার কোন কবিতা ছিলো না।
প্রতি লাইনের শেষ ছিলো তাই নির্মম যবনিকা।
অাজ ভোরে অামরা সবাই দাজিলিং এসেছি।
এই প্রভাত বেলায় তুমি। ভোর বান্ধব মানুষ তুমি।তবু এই ভোর তোমাকে দেখার এমন ভোর হবে ভাবিনি।
এই প্রভাত বেলায় তুমি। ভোর বান্ধব মানুষ তুমি।তবু এই ভোর তোমাকে দেখার এমন ভোর হবে ভাবিনি।
তোমার শিশুদের প্রতি বড় টান ছিলো।
এই একটি যায়গায় তোমার অামার কি করে যেন মিল হয়েছিল।
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে অাজ অামার সন্তান কে দেখি তোমারা হাতে হাত রেখে হাটছো দুজনে।অামি চিনতে পারিনি দুর থেকে।
ভেবেছি শিশুদের সবাই ভালো বাসে হয়ত এমন কোন কেউ।
কিন্তু তোমার হাত ধরার সেই ঘন মমতা।
চলতে চলতে থমকে যাওয়া।
অার ঘুরে দেখা প্রত্যয়,
অামাকে অাবার নিস্ব করে দিলো।
এই একটি যায়গায় তোমার অামার কি করে যেন মিল হয়েছিল।
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে অাজ অামার সন্তান কে দেখি তোমারা হাতে হাত রেখে হাটছো দুজনে।অামি চিনতে পারিনি দুর থেকে।
ভেবেছি শিশুদের সবাই ভালো বাসে হয়ত এমন কোন কেউ।
কিন্তু তোমার হাত ধরার সেই ঘন মমতা।
চলতে চলতে থমকে যাওয়া।
অার ঘুরে দেখা প্রত্যয়,
অামাকে অাবার নিস্ব করে দিলো।
অনিরুদ্ধ তুমি মুক্তি দিয়েছিলে একদিন বড় অবেলায়। ভুল না হয় অামার ছিলো তোমাকে প্রথমে ভালোবাসার মত মানুষ মনে হয়নি।মানছি ।
তোমাকে হেলা করেছি।মানছি।
তবু অামি যে ফিরতে চেয়েছি বার বার
তোমার জীবন দর্শনে।
তুমি বুঝেছ তবু কেন পারিনি সে সব জেনেও তুমি ক্ষমা করোনি।
মেনে নিয়েছি এ অামার নিত্য গোধুলী।
কিন্তু অামার সন্তানের মাঝে যে তুমি।
যে প্রবল তুমি ,তার হাত তোমার কাছে যতটা সহজ অামার কাছে ততটাই সংঙ্গীন ।
এই পাহাড়ের দেশে ঘুরতে এসে
এত গুলো পাহাড় অামি কি করে পেরোবো জীবন ভোর ।
তোমাকে হেলা করেছি।মানছি।
তবু অামি যে ফিরতে চেয়েছি বার বার
তোমার জীবন দর্শনে।
তুমি বুঝেছ তবু কেন পারিনি সে সব জেনেও তুমি ক্ষমা করোনি।
মেনে নিয়েছি এ অামার নিত্য গোধুলী।
কিন্তু অামার সন্তানের মাঝে যে তুমি।
যে প্রবল তুমি ,তার হাত তোমার কাছে যতটা সহজ অামার কাছে ততটাই সংঙ্গীন ।
এই পাহাড়ের দেশে ঘুরতে এসে
এত গুলো পাহাড় অামি কি করে পেরোবো জীবন ভোর ।
চিঠিটা এক ফাঁকে তোমার বইয়ের ভাজে অথবা ব্যাগের ভাঁজে রাখতে পারবো এই অাত্ম বিশ্বাস নিয়ে লিখেছি।
তোমার জীবনের ভাঁজ গুলো নিশ্চই এতদিনে মসৃন হয়েছে বলে সাহস করিনি।মুখোমুখি।
তোমার জীবনের ভাঁজ গুলো নিশ্চই এতদিনে মসৃন হয়েছে বলে সাহস করিনি।মুখোমুখি।
বিঃদ্র-পুরোনো বইএর পাতার ভাঁজে পাওয়া চিঠি। নীলান্জনার দুর্ভাগ্য অনিরুদ্ধর চোখে চিঠিটা পড়েনি।তাহলে পুরোনো বইয়ের ভাঁজ হয়ে সে অামার হাতে অাসতনা।
No comments:
Post a Comment