সমতল দিয়ে ঘেরা আমার পথেরা দিনশেষে দুয়ার অবধি পৌছে দিয়ে যায়,
জাণ্হবী জলে ছায়া ভাসে জোৎস্নার,
কলার খোলার মত ভাসে,
কাছে আসে দুরে যায় অগোচোরে।
ধরা বৃষ্টির টিপ টিপ বিরতি পাহাড়ে পাতার ক্রন্দনের মত আসে কানে,
তোমার স্পর্শ রাখি গোপনে আমার শিরায় ঝড়জলের বিষন্ন রাতে।
অবুজ পল্লবী মনে রাখে তার চলে যাওয়া অগনিত আধার।
সেদিনও কাক ডাকা ভোরে ছিল সুর্যোদয় আমাদের দুচোখে,
আমার বর্ষায় তুমি ভিজেছ বহুবার।
তবু সন্ধ্যা অবধি তোমার ফিরে যাওয়া পায়ের চিন্হ বুকে ফিরেছে আমার দৃষ্টিরা অভিমানে।
অগনিত হেমন্তের রোদ্দুর ছিল
সেদিন আমাদের কল্পনার কোমল শাখায়
তির তির স্বপ্নরা ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরেছে ,
উড়েছে দল বেধে উদাসী হাওয়ায়।
আমাদের জীবন ঘেঁষে জল পড়া জীবনের চালে।
তবু মাটির গন্ধের মত ঘন হয়ে আসে তোমার প্রেম,
নরম মাটির মত ভিজে ওঠে জলে।
সেদিন কি বুঝিনি আমি ধীর পায়ে তোমার বুড়ো আংগুলের ভীষন ছাপ ,
জানলায় ঝুলে থাকা সতর্কতা,
বালিতে গভীর ছাপ তোমার গৃহহীন গোড়ালীর ,
এ ছিল তোমার বিলাসী আত্মবিশ্বাস।
তার এই সব কুয়াশায় নুইয়ে পড়া সবুজ মাঠ আর পাখিদের যতকথা ,
এক সাথে বেঁধেছি পাতার ঝরে পড়া ভোরে,
একদিন যারে বলেছি ভালোবাসি কৃষকের মত নতজানু সুরে,
অসময়ে ফসলের মাঠে।
No comments:
Post a Comment