পারাপার
জীবন যখন ছুঁয়ে থাকে বোধ আর বিষন্নতার মাঝামাঝি,
তখন আমি আরও ঘন হয়ে থাকি,ঝাউ জাম আর বাবলার পাশাপাশি।
কে যেন ওড়ায় শুন্য শুন্যের চারিপাশে, ভিতরে বাহিরে নিরবধি।
ধীরে বোধেরা তৃপ্ত হয়ে উঠে,স্পষ্টতার মাঝে এসে পড়ে,
যেন কাদাঁমাখা পথ পেরোই বিশ্বাসের বেড়া ধরে।
তবু ধীরে।নীল আরও গাঁঢ় হয়।
যেন কামার্ত শরীর সে, জুড়ে যায় অতৃপ্তির ফাঁক ফোঁকর।
শুধু সম্পর্ক আর সময়ের অযাচিত অমিল গড়ে নেয় ব্যকুল ব্যবধান,
রয়ে যায় আমাদের আঙুলের ফাঁকে।অস্পৃষ্য আর শুষ্ক স্মৃতির মত,একাকী অসহায়।
কবে উড়েছে সে ভরাপেটে ধানের পাশে,ক্ষেতের পাশে,অর্থহীন।
তবু যখন ছিল অগনিত শৃংখল চারিপাশে আর নিয়মের অভিশাপ ?
আজ তার অর্থ ডালপালার মত আঁকাবাঁকা।
বরইআর স্বর্ণলতার মত বড় নির্ভেজাল আর শৈল্পিক।
বিনা কারনে কতবার ফিরেছে সে আমার স্বপ্ন স্বাদ আর গোছানো কষ্টের চারিধারে।
আজন্ম বিবেক আর আদর্শের খাম তবু সে খোলেনি,ভোলেনি সে,
সযতনে রেখে গেছে আমার ব্যক্তিগত ভারসাম্যের প্রখর প্রয়োজনে।মৃত আত্মার কাছাকাছি।
অদৃশ্য সে শুন্যতা,
যদি না আসে ভরা নদী কল্পনার মাঝ বরাবর।
চোখ যদি না ছাড়ে তার দৃষ্টির পরিধি।কখনো নির্জনে যদি না ডাকে অজস্র ঘুঘু।
সমতলে এসে দাড়ানো মানুষ আর তোমার পুরোনো শরীর,
নিমেষে উদ্দাম হত বুকে ছুঁয়ে অসংখ্য পরাপার।
No comments:
Post a Comment