এই সব পড়ে থাকা প্রান

কতবার ধুয়ে দেবে জন্মের পাপ?
তখনো তুমি নদী, বহমান স্পর্শ টুকু তবু থাক,
ব্যাকুল সহস্র শষ্যের মাঠ ত্রিভুজে একাকার।
এপার ওপার বিস্তৃত দুই পাড়,
বেধে রাখে তার বিশ্বাসের অতৃপ্ত জল।কোথায় দাড়াবো অামি?
অবুঝ তুমি বা কোথায়?
সকালের পড়ে থাকা অবহেলা,
সন্ধ্যায় টেনে দেয় পাল,
উড়ে যাওয়া চিল অার ধুসর প্রশ্নের সেই সব জাল।
ঘিরে ধরে পায়ে পায়ে ফিরে অাসা পথ,
পিছু নেয় সমস্থ শশান।
নিভৃতে স্বপ্নের কাঁদা বালি ঘুরে ঘুরে নেয় অবসর।
ডুবে যায় জোৎস্নার নিরিবিলি চাঁদ,
ভেসে অাসে খড় কুটো অন্ধকার,
তার পর জেগে ওঠে পর পর অদেখা চর।
রিদয়ের বাসা ছেড়ে উড়ে যায়
পড়ে রয় পুরোনো পাখা অার তার সাধ,
পাতায় পাতায়। যে
উড়ে উড়ে একা একা ঝরে,
একা একা নির্জনে কথা কয়।
তোমার অামার শরীর ঘষে তুলে নেয়
বিলাসের বসন্ত অাঁশ, রক্তের টান
মাঝ রাতে তুলে নেয় অনিহার দেয়াল,
শরীরে শরীরে রুয়ে যায় সাদা কাশ।
কতকাল অার ভালোবাসা তারে কয়?
চোখের সীমানা হেলে পড়ে,
নুয়ে পড়া শয্যায়। ঘৃনা না হয় অসহ্য ভালোবাসায়।
মানুষের নাকে কত কাল বাঁচে অার শরীরের হেয়ালী ঘ্রান?
তখন তুমি অামি এক রাশ কংকাল,
অার অামাদের মরা শামুকের এই সব পড়ে থাকা প্রান।

No comments: