অজস্র রোদের মত ফিরে যায় সে
অনির্বান আলো আধারি
শেষ বিকেলের বেড়ায় তোমার কংকন
হীমশীতল নীরব।ছায়াঘন
ছায়া ঘুম জুড়ে মদির প্লাবনে থৈ থৈ বুক
মধ্যযুগের অবসান
পৌরানিক গৃহ ভাংগার শব্দ ।তার পর আমি।
কখনো অতীত উঠে আসে গ্রীবায়
গোদাবরী জানে রাত জাগা জল
আধিয়ার সাথে ছিল কোলাহল।
কি করে ভালবাসে মানুষ?
কি করে বলে ভালবাসি
এত সুর এত স্বর ফেলে যায় জন্মান্তর
সাগরের পাড়ে নুনেরা খেলে
বকুলের পাশে আধার উঠোনে তোমার মন্বন্তর।
আলো আসে ফিরে যাওয়া আধারের মত
ওষ্ঠে রেখে যায় অসমাপ্ত আলিংগন
আর ভুল চিঠি একদা যেখানে
লেখা ছিলো পাহাড়ের নিরবতা
ক্লান্ত আগুনে পুড়ে গেছে
ভেসে গেছে ছুয়ে যাওয়া আংগুলের স্বাদ
নিশীতে সমু্দ্রের মাঝে খুঁজে ফেরা অচিন্ত্য আলো
নিবিড় কালো চুলের ভিতরে
আমিও জাতিস্বর।
অন্ধকারে তোমার মুখের একটি রেখায়
আমি জেগে উঠি ,বিহ্লবল তোমাকে খুঁজি।
আয়ুরেখায় তুমি তখনও দীপ্যমান।
#মেঘরঘ্রণ
২৪/০১/২০২০
রিদ্ধ রজনীরা ফিরে এলে
নুপুরের সাথে কথা হবে সুরে,
গহীন আঁধার পাশে রেখে
আমরা প্রভাতের ফেরী তে
তুমুল তোলপাড় নদী হবো।
জলপাই বনে
খুঁজব শুক্লপক্ষ রাত,
ঘন কুয়াশার কাছে জমা রেখে
সমস্ত আবরণ।
সমুদ্রের নোনা বাতাস
আসলে আসুক ধীরে,
ঢেউ ছেড়ে তোমার গ্রীবায়।
আমরা বুনো শেয়ালের কাতর
কাহিনী শুনবো আমরন।
পাহাড় এসে পায়ে পায়ে
দেখে যাবে তোমার আনত মুখ,
হাসি লুকোবে ঠোট ছেড়ে
চোখের তারায়,
লজ্জার সাথে সে তোমার প্রথম পরিচয়।
শুন্যতা শেকড় থেকে উঠে
নির্জন পথ খুজুক শরীরের বাঁক।
পাথুরে পাহাড় দেখুক প্রনয়।
#মেঘেরঘ্রাণ
২৬/০৬/২০২০
কৃষ্ণচুড়ার ঝরে পড়া পাতা গুলো
রাতভোর অপেক্ষায় থাকে,
উড়ে উড়ে জড়ো হয়,
দুরে যায়। ধুলোর সাথে।
হলুদ হয়ে সবুজ থেকে একদিন ওদের ঝরে পড়া ।
আমি ওদের পাসে এসে দাড়াই,
বসি কিছুক্ষন । তার পর ছুঁয়ে ছুঁয়ে
গল্প লিখি,ভালবাসা।
ওরা আমার আংগুলের ফাঁক দিয়ে
বাতাসে উড়ে পালায়,
খিল খিল করে হাসে।
দুরে যেয়ে তাকিয়ে থাকে।
মাটিতে বসে কেন আমি আকাশ লিখি?
ওরা জানতে চায় কখনো কখনো।
কেন আমি ভালবাসি আকাশের সাদা,আকাশের নীল।
ওদের বুঝিয়ে আমি আবার নিয়ে আসি,বলি
আজ যে সবুজ কাল সে হলুদ।
এখন যে সন্ধ্যা একটু পর সে রাত,
আজ যে বিকেল তোমার আমার কাল সে নয়।
কাল যে সময় আমি লিখেছি পদ্যে ভালবাসার স্বর,
আজ সে নীরব নিরন্তর।
কাল যে মেঘ দাড়িয়ে ছুঁয়ে ছিলো নীল,
আজ সে ভেসে গেছে আকাশ ময়,আজ সে নীলের ক্ষয়।
কাল যে বয়ে যাওয়া বাতাসে
তুমি তুমি গন্ধ ছিলো,
সে আজ তুমি থেকে সে,
ভালবাসার বুকে ওঠা নামা
আর পায়ে পায়ে উঠে আসা আদরের ধুলো,
পিছু নেয় আমার, পিছু ডাকে।
বলে একটু বসো,আর একটু দাড়াও।
আমাকে চোখে চোখে রাখে
স্তুপের মত অখন্ড নীরাবতা।
আমি নীরবে প্রতীক্ষা করি,
আর একটি সবুজ পাতার
হলদে হয়ে খসে পড়ার,
দেখা হবে বলে।
দেখা হবে ভোরে,
সারা রাত জেগে থাকা
কৃষ্ণচুড়ার ছোট ছোট পাতার সাথে,
যে ভাল বাসে আমার বিকেল,
ফিরে গেছে কৃষ্ণচুড়া দিন
বিকেলের কাছে আসা প্রতিদিন।
সাঝের বেলা
২৬/০৬/২০২০
#মেঘেরঘ্রান
কোথাও আজ বৃষ্টি হোলো বুঝি,
মাটির পোড়া গন্ধ নিয়ে,
এক পশলা বাতাস আমার
জানালার পাশে থমকে দাড়ায়।
আমার ক্লান্ত শরীর খোঁজে,
আমার মুহুর্ত খোঁজে,
উজানের বুক চিরে চিরে মহাকাল।
মাছেরা যেমন স্রোতের স্বাদ খোঁজে,
খেলা ছলে চিরকাল।
ভেজা বাতাস তবু কাছে ডাকে।
শরীর ছুয়ে
শির শির গান গায়।
ভাংগা পংতি জুড়ে বলে
এইতো সুর।
করুনার সুতো বিছিয়ে বলে
এই যে বিন্যস্ত স্বরলিপি।
আমি জোৎস্না জলে আকাশ দেখি,
সুরভি খুঁজি পদ্মস্নানে,
ভেসে যাওয়া মেঘের বুকে দেখি অপরুপ আলোর অভিসার,
বৃস্টি রাগে পুর্ণ মেঘ যখন সে ক্ষুরধার।
ভেজা বাতাসের সাথে,
ভেসে আসা বৃষ্টির আস্বাদ,
খুঁজিনি আমি।
খুঁজিনি আধো আধো জীবন,
নুড়ির মত ভাংগা ভাংগা পাহাড়,অসমাপ্ত প্রার্থনা।
পাতা কুড়োনো বিকেল,
বৃস্টি হয়ে ঝরে পড়া নতজানু মেঘ,
আর মুহুর্ত আবেগ।
আমার চারিপাশ জুড়ে স্বপ্ন।
খেলা করে চঞ্চল,
আমি অখন্ড পরশের বিহবল অভিলাষ,
আমি তৃপ্তিরাঙা বিলাসী কম্পন,
আমি মাঠের পর মাঠ জুড়ে
সবুজ ডগায়, সাদা সাদা কাশ।
#মেঘেরঘ্রাণ
২৯/০৬/২০২০
বিকেল।
রাত্রির কোল জুড়ে এই যে আলো আঁধারি,
সে তোমার আমার।
যখন শষ্যরা বুকে রাখে সবুজ ক্ষেত
যখন মাঠেরা ঘুমায় ক্লান্ত কৃষকের বুকে শান্ত শীতল ,
এক ফালি স্বপ্ন বোধ,
নরম চাঁদ নেমে আসে চোখের তারায়,
একাকী হাসে,
প্রভাতের গান হয়ে কৃষানির পায়ে।
নেমে আসে উঠোন জুড়ে
কাদা মাখা বুকে ঝি ঝি পোকা
গান গায় বিরাম হীন,
তার ছন্দ তোমার আমার।
ঘুম ঘোরে কাছে আাসা বৃস্টির জল,
খুঁজে ফেরে অথৈ অতল,
নীচু ভুমি, জলাশয় পুর্ন হবে বলে।
সেই সব পুর্ণত্বের যত স্বাদ,
ভাললাগা আবহ অবাধ,
সে তোমার আমার।
যখন বিহবল সন্ধ্যা মালতি
সব্ধ্যা পেরিয়ে খোঁজে
হাতে নিয়ে রাত ঘন গভীর,
যখন তৃপ্তির জলে
ভেসে যায় তোমার দু কুল,
ভেসে যায় তোমার লোকালয়
আদুরে অন্চল,
অঝোরে বৃস্টির জল
ভুলে যায় কোলাহল।
ফোটায় ফোটায় তার আস্বাদ
ধাবমান বেগ
সে তোমার আমার।
অদুরে দাড়িয়ে থাকা ভোর
চোখের পাতায় রেখে যায়
সকাল, ঘন দুপুর,
কৃযানির সেই গুন গুন সুর,
আটপৌরে শাড়ীর ভাঁজে তার
এখনো না পাওয়া পায়েলের উৎসব
এই অতৃপ্তি অনন্তকাল,
ভালবেসে তোমার আমার।
15/07/2020

প্রেম ও প্রেরনা

প্রেম অার প্রেরনার মাঝে
কতটা দুরত্ব হতে পারে
অথবা কতটা নৈকট্য?
মানুষ বুঝতে বুঝতে
শেষ করে তাদের যুগল জীবন।
কিছু জীবন থাকে প্রেম হীন।
কিছু জীবন থাকে প্রেরনা বিহীন।
জীবন জুড়ে কোনটা বেশী প্রয়োজন?
কোনটার বেশী প্রাধান্য?
প্রেম না প্রেরনা?
প্রিয়তি তোমার কি অাজও মনে পড়ে
এমন একটি বিতর্ক ঘিরে
অামাদের পথের শুরু।
সেই প্রথম স্টেশান
যেখানে অামরা এসে দাড়িয়েছিলাম,
একটি ট্রেনের জন্য।
একটি গন্তব্যের জন্য।
একই পথে পাশাপাশি,
অনেকটা পথ দুজনে হাটবো বলে।
জানি অামরা পারিনি।
একদিন এই অামরা শব্দটা অাচমকা ভেঙে গেলো।
অামরা থেকে অামি ও তুমির জন্ম হোলো।
জন্ম নিলো নিজস্ব তুমি।
জন্ম হোলো নিজস্ব অামি।
অামরা অামাদের গন্তব্যে
পৌছতে পারিনি।
তার অাগেই অামাদের পথ চলার
ইচ্ছেটা হারিয়ে গেলো।
ইচ্ছে হারানোর বিকেল মনে পড়ে।
সারি সারি দুপাশ জুড়ে
অমল বুকে
বাধলো বাসা
লাল কস্ট নীল কস্ট
বছর বছর নীরব সুখে।
তবু এত দিন পর তোমাকে দেখে অামার বেশ মনে পড়ে
অামরা সেদিন দুজনেই
অালাদা করে
একি প্রশ্নের উত্তর খুজেছিলাম।
শুধু একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য
দুজনেই ছুটেছি দিকবিদিক।
সেই ইচ্ছে হারানোর গল্পে
তোমার কাছে একটি রং
অামার কাছে তার ভিন্নতা।
লাল কে লাল নীল কে নীল বলতে পারিনি অামরা।
অামরা কেন ইচ্ছে হারালাম?
কেন স্বপ্ন কে মুক্তি দিলাম।
খুঁজতে খুঁজতে একটি প্রশ্নে থেমে গেল সেই অামরা।
ক্রমাগত এই হারানোর খেলায়
অামরা অাসলে কোনটি অাগে হারিয়েছিলাম?
প্রেম না প্রেরনা?

তৃষ্ণা হীন

হয়ত অভিমান থাকবেনা,
একদিন অভিমান ক্রোধের জন্ম দেবে না আর
আমি নীরবে শিউলি গাছের তলে একা দাঁড়াবো,
লাল সাদা একটি শিউলির জন্য আমি তাকাবো শুন্যতায়।
পানশালার পাশ দিয়ে একদা আমি হেঁটে যাবো,
একটি জল ভরা কলের খোঁজে,
হয়ত দেখব জল নেই, ফোঁটায় ফোঁটায় পুর্ন হবেনা আজলা ,
আমি তৃষ্ণা নিয়ে ফিরব এমন নয়,
জলের হাতে তৃষ্ণা রেখে বলব, যাও
আমি তৃষ্ণা হীন ।
আমি জল চাইনা ,আমি শিউলি চাইনা।

প্রেম না প্রেরনা

প্রিয়তি,
প্রেম অার প্রেরনার মাঝে
কতটা দুরত্ব হতে পারে
অথবা কতটা নৈকট্য?
মানুষ বুজতে বুজতে
শেষ করে তাদের যুগল জীবন।
কিছু জীবন থাকে প্রেম হীন।
কিছু জীবন থাকে প্রেরনা বিহীন।
জীবন জুড়ে কোনটা বেশী প্রয়োজন?
কোনটার বেশী প্রাধান্য?
প্রেম না প্রেরনা।
প্রিয়তি, তোমার কি অাজও মনে পড়ে
এমন একটি বিতর্ক ঘিরে
অামাদের পথের শুরু।
সেই প্রথম স্টেশান
যেখানে অামরা এসে দাড়িয়েছিলাম,
একটি ট্রেনের জন্য।
একটি গন্তব্যের জন্য।
একই পথে পাশাপাশি,
অনেকটা পথ দুজনে হাটবো বলে।
জানি অামরা পারিনি।
একদিন এই অামরা শব্দটা অাচমকা ভেংগে গেলো।
অামরা থেকে অামি ও তুমির জন্ম হোলো।
জন্ম নিলো নিজস্ব তুমি।
জন্ম হোলো নিজস্ব অামির।
অামরা অামাদের গন্তব্যে
পৌছতে পারিনি।
তার অাগেই অামাদের পথ চলার ইচ্ছেটা হারিয়ে গেলো।
সারি সারি দুপাশ জুড়ে বুকে
বাধলো বাসা
লাল কস্ট নীল কস্ট
বছর বছর সুখে।
তবু এত দিন পর তোমাকে দেখে অামার বেশ মনে পড়ে
অামরা সেদিন দুজনেই
অালাদা করে
একি প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিলাম।
একই প্রশ্নের উত্তরের জন্য
দুজনেই ছুটেছি দিকবিদিক।
সেই ইচ্ছে হারানোর গল্পে
তোমার কাছে একটি রং
অামার কাছে তার ভিন্নতা।
লাল কে লাল নীল কে নীল বলতে পারিনি অামরা।
অামরা কেন
ইচ্ছে হারালাম,
কেন স্বপ্ন কে মুক্তি দিলাম।
খুঁজতে খুঁজতে একটি প্রশ্নে থেমে গেল সেই অামরা।
ক্রমাগত এই হারানোর খেলায়,
প্রশ্ন ছিল
অামরা অাসলে কোনটি অাগে হারিয়েছিলাম?
প্রেম না প্রেরনা?
তোমার চোখের কোনে সেদিন জল থাকবে,
ফিরে আসব আমি না পাওয়া তুমি সাথে নিয়ে।
তখন সন্ধ্যা নামবে, কবিতারা ফিরে যাবে বইয়ের পাতায়,
আমি ঘর হীন নিরাভরন পৃথিবীর ,
সদ্য কোন পথে নতুন পথিক হবো,
আমাদের দেখা না হবার দুরত্ব বাড়তে থাকবে।
সকাল দুপুর বিকেল রাত সব তখন একা তোমার হবে।
সুখের এক একটি শব্দ সুতোর মত লম্বা হয়ে দুজনের কানে এক সাথে
অলংকার হয়ে উঠবে না।
আমাদের পায়ের ছাপ গুলো পেন্সিলের কালি হবে,
ঘষা মাজা অস্পষ্ট কোন শীতের বিকেল হয়ে যাবে, অথবা কুয়াশায় আলো হীন।
না আমি ফিরে তাকাবো না ভুল করে
পিছনে তোমার তাকানো চোখে চোখ রেখে
আমার পায়েরা ফিরবে ছাপার চিহ্ন সমুখে ঝাপসা পথে।
তখনও তুমি শুধু চলে যাওয়াই দেখবে আমার,
শহর ছেড়ে আমার একাকী ফিরে আসা পথে।

পুরোনো দাগ


আমার সব ভিতর বাহির নিয়ে
এক ফালি রোদ
খেলা করে  বিকেলে নির্জন,
একাকী খুলে যায় জানালা
চেনা জানা কপাট হীন খেলাঘর আমি,
শাকের ডগায় নিবিড় আংগুল
খুঁজে ফেরে ইচ্ছে ফড়িং  
তৃনমুল ভালোবাসার একাকী  বুনন
একা একা কথা বলে
জেগে থাকে রাত ভোর
পায়ের আংগুল তবু চেপে রাখে
সোজা রাখে  বাঁকা বটি,
একাকী তাকায়
কাটাকুটি শেষে কাছে আসে কুচিকুচি রাগ
ঘরকুনো মাছি  খসে পড়া আঁচলে
খোঁজে পুরোনো সে দাগ।

এই সব পড়ে থাকা প্রান

কতবার ধুয়ে দেবে জন্মের পাপ?
তখনো তুমি নদী, বহমান স্পর্শ টুকু তবু থাক,
ব্যাকুল সহস্র শষ্যের মাঠ ত্রিভুজে একাকার।
এপার ওপার বিস্তৃত দুই পাড়,
বেধে রাখে তার বিশ্বাসের অতৃপ্ত জল।কোথায় দাড়াবো অামি?
অবুঝ তুমি বা কোথায়?
সকালের পড়ে থাকা অবহেলা,
সন্ধ্যায় টেনে দেয় পাল,
উড়ে যাওয়া চিল অার ধুসর প্রশ্নের সেই সব জাল।
ঘিরে ধরে পায়ে পায়ে ফিরে অাসা পথ,
পিছু নেয় সমস্থ শশান।
নিভৃতে স্বপ্নের কাঁদা বালি ঘুরে ঘুরে নেয় অবসর।
ডুবে যায় জোৎস্নার নিরিবিলি চাঁদ,
ভেসে অাসে খড় কুটো অন্ধকার,
তার পর জেগে ওঠে পর পর অদেখা চর।
রিদয়ের বাসা ছেড়ে উড়ে যায়
পড়ে রয় পুরোনো পাখা অার তার সাধ,
পাতায় পাতায়। যে
উড়ে উড়ে একা একা ঝরে,
একা একা নির্জনে কথা কয়।
তোমার অামার শরীর ঘষে তুলে নেয়
বিলাসের বসন্ত অাঁশ, রক্তের টান
মাঝ রাতে তুলে নেয় অনিহার দেয়াল,
শরীরে শরীরে রুয়ে যায় সাদা কাশ।
কতকাল অার ভালোবাসা তারে কয়?
চোখের সীমানা হেলে পড়ে,
নুয়ে পড়া শয্যায়। ঘৃনা না হয় অসহ্য ভালোবাসায়।
মানুষের নাকে কত কাল বাঁচে অার শরীরের হেয়ালী ঘ্রান?
তখন তুমি অামি এক রাশ কংকাল,
অার অামাদের মরা শামুকের এই সব পড়ে থাকা প্রান।

কোমল পাতা


তোমার জন্য আমার আলাদা কোন শব্দ নেই। ভাষা নেই।
শব্দ উচ্চারণের তাগিদ নেই। অভিলাষহীন জড়তা নেই।
তোমার যা কিছু শোভন সে অতীত ।বৈকুন্ঠ ছোঁয়ার কোন উদ্যোগ নেই আমার ।
জরায়ুর ককপিটে ভালবাসার বনসাই আমি, কপিরাইট হীন সহজ স্বত্ত্বা,
মরে যাবার আগ পর্যন্ত বাঁচতে চাওয়া নেই।
অশুদ্ধ জীবনের লালে এলোমেলো ভিজে থাক কোমল পথ।পলাশের গালে।
আমার ফিরে আসার কোন ইচ্ছে নেই। কোথাও পৌঁছানোর আগ্রহ নেই।
ইতিবৃত্তে ঘোর , অযাচিত ভালবাসার জলের উচ্ছ্বাসে কোন সায় নেই।
এক নির্মোহ বেদনা আমি ,জেগে থাকি সারা বেলা সময়ের জালে,অসময়ের পালে।
কাকডাকা ভোর অথবা কাকভেজা সন্ধ্যার সাথে কোন সখ্যতা ছিলনা আমার।

সময় যাপন


নির্জনতার ধার ছুঁয়ে পাহাড়ের পায়ে মাথা,
নাক ফুল হারানো অপয়া বাসর,
নরম আলোয় খসে পড়া ফুল আর পাপড়ির প্রেম,
নির্জনতায় ম্লান হয়ে ভাসে তার চোখ, জোৎস্নায়।
ফিকে রোদ, কুমারী উষ্ণতার কাছে জনাকীর্ণ জীবনের দায়,
কোলাহলে রাজ পথ, কাঁটা তারে আটকে পড়া অামার দুই চোখ,
লোকালয় কথা কয় ,তুমি কি এখনো অপেক্ষায় ?
হাত হীন পা হীন দৃষ্টিহীন কলোরব,
খুঁজি পথ, তবু পার্থক্যের রেখায় ধৈর্যের ধারাপাত,
প্রেয়সীর বাহুতে রাত্রি যাপন অার জীবন যাপন, অনন্ত তফাৎ,
অনুভুতির কাছে শোনা চেতনার আত্মকথা, বিষন্ন বিকেলে
যেন এক জনম শুন্য বোধ। শুন্যের সাথে সমস্ত সম্পর্কের অজুহাত।
বিপন্ন বিনয়ে কুসুমের কংকাল,
নোনাজলে পাক খায় চতুর আশ্বাস,
তবু সমর্পণ কেড়ে নেয় বুঝি উচ্ছন্নের বাহু,
সময়ের ভাঁজ খুলে বেড়ে ওঠে শৈশব,অবৈধ যৌবন,
অনিশ্চয়তাই জীবন, মৃত্যুই একমাত্র আত্মবিশ্বাস।
আতুর ঘর জুড়ে অপুর্ণ মিলনের কৌরব ফসল,
কামনার খাপে জন্ম নেয় নতুন স্নেহ,অচেনা রাহু।
তুমি অামি সবই এক অভিন্ন সময়,শিশির সময়,
শুরু ভিন্ন,শেষ ভিন্ন। সময়ের অস্থি মজ্জায় তবু অভিন্ন শিহরন,
একই গাছের অজস্র পাতার মত লেগে থাকা অধীর পল্লব,
এক একটি বোটার জন্য জীবন,জীবনের জন্য খসে পড়া প্রয়োজন,
তবু সময়ের রাজ্যপাটে নিঃসঙ্গ ঢেউ পরানের পাড়ে ,
সব অালো যেন অাধারের অালোহীন কৃতকর্ম,
জুড়তে জুড়তে শরীরের মত রিজু হয়ে ওঠা ক্ষন।
না বলা প্রেম যন্ত্রনার একক ভাস্কর্য ,
দাড়িয়ে থাকা শিরোনাম হীন নিসংঙ্গতা।
সময়ের গায়ে যেন ছোপ ছোপ নরম ফসিল,
বহে নিরন্তর পুর্বে পশ্চিমে,ভাঙা প্রেম ভাঙা কথা,
সাজানো সময় নির্ভার পিছনে দাড়ায় কাঁধে রেখে হাত।
ডাকে না ভালবেসে, বলে নাকো কথা, ঠোঁটে তার ছিলনা পরিচয়,
এই সব তুমিহীন ছড়ানো আমি,
খন্ড খন্ড পড়ে থাকা ক্ষয়,
মাঠের মত উর্বর সময়, ছিল অন্য কারও,হয়ত আমার নয়।

না এলেও পারতে

এতদুর হেটে এলে
না এলেও পারতে,
এতটা সময়ে তুমি ফিরে যেতে পারতে
তোমার চেনা কোন এক নন্দিত নগরে।
ভেজা শহর বুকে নিয়ে ইটের দেয়াল,
ঘাসের ডগায় শিশির গোনা
ভালবাসার দায় শুধু কি তোমার।
এমন তো নয়
পায়ের দায় শুধু একা হেঁটে চলা।
ঘুমন্ত সিড়ি কখনো কি জড়াবে না
পায়ের অালপনায়।
পথ কি বলবে না এক বারও,
প্রিয়তম। এই যে অামি সীমাবদ্ধ।
অসীমের গর্ব আজ আর নেই।
তোমার চরনে নতজানু আমি,তোমাতে বিলীন।
কেন এলে? না এলেও পারতে,
এতটা সময়ে তুমি ফিরে যেতে পারতে
তোমার চেনা কোন এক নন্দিত নগরে।

অচিন্ত্য ভোর

এক না বলা তীর্থ তুমি স্পস্ট, রামধনুর গায়।
সকাল টেনে টেনে দুপুর অামি।
ধীরে জাগে বোধ নিশ্চল অায়নায়। 
খন্ড অামি মাথা রাখি তবু অখন্ড তোমায়।
পথ জন্ম নেয় ধুলো অার অজস্র কণায়। 
জীবন বিধে রবে একদিন মরনের ফলায়।
ছন্নছাড়া সুতোয় অচিন্ত্য ভোর,
সুখেরা দিশে হারা ,খুঁজে নিক একান্ত দোসর ।
জীবন বহে ভালবাসার ভার,
এখনো প্রশ্ন আমি কতটা তোমার।

সাবালিকা

গোধুলীর ওড়নায় বেদনার চিল
চোখ তার সময়ের নিভৃত ফসিল।
এলোমেলো স্বপ্ন এলোমেলো চুল 
শিয়রে মৃত্যু তীক্ষ্ণ ত্রিশুল,
অস্থির মুখ ঢেকে দেয় সন্ধ্যা, বৃষ্টির মৃন্ময়ি কোল
অাত্মার অতৃপ্তি পোড়ে দেবালয়,
অাকাশে অাবীর, অামার রক্তে অনন্ত হেম,
ভিজে ভিজে নতজানু স্বর,
কাছে নাও, ধুয়ে দাও, অতল অঝোর,
সাবালিকা 
যত সমস্থ প্রেম।

বেহিসেবি রাজপথ

কালিমায় বেড়ে ওঠা ধুপ
শুদ্ধতায় সুর তোলে সুগন্ধ
পার করা জীবনের ঝুল
আর জেগে থাকা ক্ষমতার ছাদ,
আমরা দাঁড়িয়ে থাকি তবু
বর্ষায় খোঁড়া বেহিসেবি রাজপথ।

তুমি আমার

তুমি আমার আমার কন্ঠ নিও,
রক্তে অামার দুর্বারসের ধ্বনি নিও।
বাতাস বুকে দুই আঙুলের পরশ নিও
তুমি অামার নীলকমল সব নিঃসর্গ নিও।
বুকের কাঠে না বলা সব চিণ্হ নিও।
তুমি অামার শ্বাস নিও, দীর্ঘ সবল বিশ্বাস নিও।
তুমি আমার নিভৃত নিও।
তুমি আমার জল তরঙ্গ পলক নিও
চোখের তারার জলের মত ঝিলিক নিও

মানুষ ভালবাসে

একদিন মানুষের মত হয়ে উঠতে উঠতে
ভেঙে যাব আমি।

টুকরো হয়ে ঝরে ঝরে পড়বে আমার সমস্থ ভোর।
আমার সমস্থ বিলাসী আভা।

আধারের কাছে কেনা কষ্ট।
পাশে এসে দাড়াবে ক্ষমতাসীন বিশ্বাস,
যারা ভেংগে পড়ার শেষ মুহুর্তে পাশে থাকে
ভাংঙনের শব্দের সাথে নিয়ে আসে অন্তিম সিল।
নিস্তব্ধ কোলাহল ধরে হাটে অজানা পথে,
অটুট অস্তবিশ্বাস শুয়ে থাকা গভীর অন্ধকারে।
স্বান্তনার অন্তরালে আমার নিষ্পলক যাওয়া আসা।
ভঙ্গুর সেই জলছবি, মানুষ ভালবাসে মানুষেরে,
মানুষ কাছে পেতে চায় মানুষেরে। অজান্তে ।
প্রতিশ্রুতির খাতা খোলা থাকে ধুলোর আশেপাশে।

জেগে ওঠে প্রান

তোমাকে প্রায় অামি বলতাম
ভাল খারাপ যা কিছু গুরুত্ব পুর্ন তার কোন ছবি হয়না।
তুমি এমন ভাবে তাকাতে যেন অামি অর্থহীন সংলাপের মায়া জাল বুনে চলেছি,
অজস্র ছবি মুহুর্তে নিয়ে অাসতে তুমি
প্রিয় মানুষের ছবি,
অাকাশের ছবি,
বৃষ্টির ছবি,
তুমি জানতে
অামার সকল দুর্বলতার জিনিস গুলো
যেমন অাকাশ নদী বৃস্টি
ভোর, বৃক্ষ, অচেনা মানুষ
তুমি অাত্ম বিশ্বাসে বেঝানোর চেষ্টা করতে অামাকে, এত যে ভাল ছবি তুমি তুলেছ
এসব কি ভাল ছবি নয়?
ভালো কোন কিছুর ছবি নয়?
অামি মনোযোগ হারায়নি দেখে তুমি অবাক হতে।
সরব মানুষ নীরব হলে যেমন বিপদের অাশংকা,
তেমনি ধৈর্য্যহীন মানুষের ধৈর্য্য বুঝি অধিকতর রহস্যময়।
অজস্র বছর তোমার সেই সব প্রশ্নের উত্তর বুকে নিয়ে অামি পথ হেটেছি,
অাজ তোমাকে সে সব বলব বলে কাছে ডাকা,
অামারা কত শত ছবি দেখি সে সব শুধু অবয়ব কোন বস্তর, বাস্তবতার নয়।
অামরা মানুষের ছবি তুলতে পারি,প্রানের পারি না।
অামরা মানুষের ছবি তুলি, মনের ছবি তুলতে পারি না।
অমরা ছবি তুলতে পারিনা নিটোল কোন ভালবাসার,
পারিনা ভাল লাগার,অহংকারের, নীরাবতার,
শ্রদ্ধার, ক্রোধ কিংবা কোন পুর্ন কোন তৃপ্তির,
না পারি অাটপৌরে অথবা গভীর কোন সম্পর্কের।
অামরা কি পেতে পারি সময় বা সম্ভাবনার কোন অস্পষ্ট একটি ছবি?
অথবা কোন একটি গোপন অনুমানের ছবি?
কোন সামান্য সুখ অথবা কোন অস্ফুট কষ্টের ছবি?
কোন মোহ অথবা কোন মায়ার?
পরিপুর্ন কোন বন্ধনের?
কোন ভুলের ছবি? পারিনা।
ছবি দিয়ে শুধু সামান্য ভুলের কয়েকটি উদাহরন তুলি,পরিমাপ করি
সমগ্র ভুলের ছবি কোথায় পাব অামি? অন্তরের গহীনে কি থাকে লুকিয়ে?
দেখেছি কি এমন কোন ছবি অাজও?
ছবি দিয়ে দেখি হাসি অানন্দ কষ্টের সামান্য ফলাফল।
প্রত্যাশা প্রতীক্ষার কতটা দেখি ছবিতে বলো।
অামরা মানুষের ছবি দেখে প্রেম খুজি,
ভাল বাসা খুজি,
খুজি সম্পর্ক দুটি মানুষের।
সম্পর্কের একটি ছবি দেখে দুটি মানুষকে কোনদিন কি খুজে পাব অামরা?
অমরা তুলতে পারি বয়ে যাওয়া নদী,দাড়িয়ে থাকা পাহাড়,অনন্ত নীলাকাশ অথবা জেগে ওঠা চরের ছবি।
তবু ছবি দেখে নেচে ওঠে মন
ভরে যায় প্রান,
ছড়িয়ে পড়ে অানন্দ, অভিলাষ, মুগ্ধতা,
জেগে ওঠে প্রান,প্রেম ভালবাসা,
যার কোনটির একক কোন ছবি অাজ এ জগতে কেউ তোলেনি,তুলতে পারেনি।
অনুভুতির পরিপুর্ন কোন ছবি অাজও নেই।

বলব, নাহ কিছু নয়

বলব, যাও,
বলব, ঠিক আছে, 
বলব, নাহ  কিছু নয়, 
বলব, হুম বেশ আছি,
ভালো আছি।
তোমার আঙুলগুলোর নড়ে ওঠা
অবধি আমি দাঁড়িয়ে থাকব।দেখব।
তারপর বলব আমি বদলে গেছি।
আমি আর আগের মত আঙুলের ইচ্ছে গুলো পড়তে পারিনাা।

হয়ত আমার নয়

নির্জনতার ধার ছুঁয়ে পাহাড়ের পায়ে মাথা,
নাক ফুল হারানো অপয়া বাসর,
নরম আলোয় খসে পড়া ফুল আর পাপড়ির প্রেম,
নির্জনতায় ম্লান হয়ে ভাসে তার চোখ, জোৎস্নায়।
ফিকে রোদ, কুমারী উষ্ণতার কাছে জনাকীর্ণ জীবনের দায়,
কোলাহলে রাজ পথ, কাঁটা তারে আটকে পড়া অামার দুই চোখ,
লোকালয় কথা কয় ,তুমি কি এখনো অপেক্ষায় ?
হাত হীন পা হীন দৃষ্টিহীন কলোরব,
খুঁজি পথ, তবু পার্থক্যের রেখায় ধৈর্যের ধারাপাত,
প্রেয়সীর বাহুতে রাত্রি যাপন অার জীবন যাপন, অনন্ত তফাৎ,
অনুভুতির কাছে শোনা চেতনার আত্মকথা, বিষন্ন বিকেলে
যেন এক জনম শুন্য বোধ। শুন্যের সাথে সমস্ত সম্পর্কের অজুহাত।
বিপন্ন বিনয়ে কুসুমের কংকাল,
নোনাজলে পাক খায় চতুর আশ্বাস,
তবু সমর্পণ কেড়ে নেয় বুঝি উচ্ছন্নের বাহু।
সময়ের ভাঁজ খুলে বেড়ে ওঠে শৈশব,অবৈধ যৌবন,
অনিশ্চয়তাই জীবন, মৃত্যুই একমাত্র আত্মবিশ্বাস।
আতুর ঘর জুড়ে অপুর্ণ মিলনের কৌরব ফসল,
কামনার খাপে জন্ম নেয় নতুন স্নেহ,অচেনা রাহু।
তুমি অামি সবই এক অভিন্ন সময়,শিশির সময়,
শুরু ভিন্ন,শেষ ভিন্ন। সময়ের অস্থি মজ্জায় তবু অভিন্ন শিহরন,
একই গাছের অজস্র পাতার মত লেগে থাকা অধীর পল্লব।
এক একটি বোটার জন্য জীবন,জীবনের জন্য খসে পড়া প্রয়োজন,
তবু সময়ের রাজ্যপাটে নিঃসঙ্গ ঢেউ পরানের পাড়ে ,
সব অালো যেন অাধারের অালোহীন কৃতকর্ম,
জুড়তে জুড়তে শরীরের মত রিজু হয়ে ওঠা ক্ষন।
না বলা প্রেম যন্ত্রনার একক ভাস্কর্য ,
দাড়িয়ে থাকা শিরোনাম হীন নিসংঙ্গতা।
সময়ের গায়ে যেন ছোপ ছোপ নরম ফসিল।
বহে নিরন্তর পুর্বে পশ্চিমে,ভাংগা প্রেম ভাংগা কথা,
সাজানো সময় নির্ভার পিছনে দাড়ায় কাঁধে রেখে হাত।
ডাকে না ভালবেসে, বলে নাকো কথা, ঠোঁটে তার ছিলনা পরিচয়,
এই সব তুমিহীন ছড়ানো আমি,খন্ড খন্ড পড়ে থাকা ক্ষয়,
মাঠের মত উর্বর সময়,
ছিল অন্য কারও,হয়ত আমার নয়।

শংখ ধ্বনি

এক একটি বিকেল যখন ক্রমে ম্রিয়মান
গোধুলীর গায়,
শরতের সন্ধ্যায় যখন মন্দিরে প্রদীপের শিখায় শিখায় নাচে বছরের ছায়া,
আমি কৈশোর হয়ে খুঁজি মন্ডপে মন্ডপে আমার অপলক তাকিয়ে থাকা,
আমার নগ্ন পা প্রতিমার মত ধীরে ধীরে সুন্দর হয়ে ওঠেনা,
শিল্পীর হাত সুন্দরে নিমগ্ন শুধু।
তোমার আমার মাঝে তখন পুরোনো গ্রীল রংকরা
সক্ষম পাহারায় ,বাহির আমার ঘর ,প্রিয়তম তুমি দেবী, মানব আমি বহুকাল।
অপরিবর্তনীয় গোত্র এ আমার নিয়তির জাল।
অনাহুত ঘুমঘোর ছেড়ে খুঁজি আজকের আমি আর সেদিনের না বোঝা অনুভব।
দক্ষিনায় পথ হারানো ভুলোমন,
ভুল করে অসময়ে তোমার মুহুর্তের পাশে আমার নয়ন,
কাল আর দেখা হবেনা একত্রে শিশির দুর্বার গায়ে,
ভালোবেসে ঘন আয়োজন,
ভালোবেসে ভুল করা পথ বিসর্জন হয়ে লেগে থাকে মানুষের পায়ে ,
পথের মত আমরা তাকিয়ে থাকি ,
তোমার আমার মাঝে উঠে আসে ধুনচির ঘোলাটে ধোয়া
তখনো বাজে শাঁখা চুড়ির মুখোমখি ইর্ষা ।
পথ হারালে পায়ের নীচেয় পথই থাকে,
সময়েরা হেটে যায় পথের বাঁকে একসাথে,
মানুষের ভিড়ে অচেনা মন্দির চেনা হয়ে জ্বলে ,
যেন কত জনম পোড়ো প্রাঙ্গনে দাড়ানো সে একা,
শিউলির চোখে শরৎ শিশিরের মত টলমল,
শরৎ আসে আবার আসব বলে চলে যায়,
ঢাকের শব্দে জলরং ছেলেবেলা কাছে আসে,
শংখ ধ্বনি হয়ে তুমি ভেসে ভেসে কথা কও কানে।

হাসনা হেনার গাছ টা

হাসনা হেনার গাছ টা ঊঠোনের সামনে ছিল তখন,
তোমার প্রিয় উঠোন সেদিন জলমগ্ন। কাল সারারাত অঝোরে বৃষ্টি ছিল।
ভোরবেলায় হাতঘড়ির টান,না আজ থাক, ফসলের মাঠ ,
ভিজে যাওয়া ধান গাছটা ডুবে গেছে কাল,
সারা রাত পারদের মত জলের লেবেল বেড়েছে প্রতিযোগীতায়,
দুপুরে স্বপ্নের মিলিয়ে যাওয়া পিতা পুত্র সম্পর্ক।
আমি আর কিছুই চাইনি তোমার কাছে,
ইংল্যান্ডের হারকিউলেস সাইকেলটার উচচ্তা বড় বেশী ছিল,
আমার খুব কষ্ট হোত। তবু প্রতিদিন অপেক্ষায় থেকেছি,
আজ বলতে দিধা নেই-
দেয়ালে হেলান দেয়া সদ্য স্কুল ফেরা সাইকেলেটি ছিল আমার ভালোলাগা বিকেল।
ঠেলতে ঠেলতে আমি নিজে শিখেছি সিটের অধিকার।
তোমার ভয়ে কেউ শেখাতে চাইনি আমায়।
তবু আমার নিজে শেখার গর্বে তোমার ঠোটে স্মিত হাসিটি
ছিল আমার প্রথম অনুপ্রেরনা।
তোমার হাত ঘড়িটা কতবার বেধে দেখেছি নিজের হাতে।
দুঃস্বপ্নের দামে কেনা শুন্য হাত।
সুইজারল্যান্ডের কারখানায় কেমি ব্রান্ডের হাত ঘড়ির উৎপাদন হয়ত থামেনি।
তোমার পছন্দ সেদিন আমার রিষ্টে কেমন মানাতো বলোতো?
কচি হাতে রুক্ষ সময়ের কাঁটা ।
সময়ের কাঁটা না ঘুরুক সাবালক হাতে কোনদিন।
এর চেয়ে সেই অসময়কে উপেক্ষার ভাষা আমার জানা ছিলনা।
তোমার আত্মজের হাতে অদৃশ্য সময় বেধে দিলে তুমি।
অনেক কিছু না দিতে পারার কষ্ট মনে রেখ না ।
প্রিয় হলেই পাশে থাকা হয়না জীবন ভোর।
অনেক ভোর প্রিয় বিহীন কাটানোর নাম জীবন ।
তবু কোথাও না কোথাও থাকে আলুথালু জীবনের বোধ,
হাসনা হেনার ঝাড় যেমন আছে আজও উঠোনে।
শুধু দক্ষিনের পাশ পাল্টে এখন পুবে।
রাতের বাতাসে হাসনা হেনায় তুমি ভেসে আসো আমার শরীরে

আমি হবো পর

অতল জলের তল,
কে পেয়েছে বল ।
ঘরের মধ্যে ছোট বড় ঘর
তোর রহস্য তোরই রবে,আমি হবো পর।

একদিন যারে বলেছি ভালোবাসি

সমতল দিয়ে ঘেরা আমার পথেরা দিনশেষে দুয়ার অবধি পৌছে দিয়ে যায়, 
জাণ্হবী জলে ছায়া ভাসে জোৎস্নার,
কলার খোলার মত ভাসে,
কাছে আসে দুরে যায় অগোচোরে।
ধরা বৃষ্টির টিপ টিপ বিরতি পাহাড়ে পাতার ক্রন্দনের মত আসে কানে,
তোমার স্পর্শ রাখি গোপনে আমার শিরায় ঝড়জলের বিষন্ন রাতে।
অবুজ পল্লবী মনে রাখে তার চলে যাওয়া অগনিত আধার।
সেদিনও কাক ডাকা ভোরে ছিল সুর্যোদয় আমাদের দুচোখে,
আমার বর্ষায় তুমি ভিজেছ বহুবার।
তবু সন্ধ্যা অবধি তোমার ফিরে যাওয়া পায়ের চিন্হ বুকে ফিরেছে আমার দৃষ্টিরা অভিমানে।
অগনিত হেমন্তের রোদ্দুর ছিল
সেদিন আমাদের কল্পনার কোমল শাখায়
তির তির স্বপ্নরা ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরেছে ,
উড়েছে দল বেধে উদাসী হাওয়ায়।
আমাদের জীবন ঘেঁষে জল পড়া জীবনের চালে।
তবু মাটির গন্ধের মত ঘন হয়ে আসে তোমার প্রেম,
নরম মাটির মত ভিজে ওঠে জলে।
সেদিন কি বুঝিনি আমি ধীর পায়ে তোমার বুড়ো আংগুলের ভীষন ছাপ ,
জানলায় ঝুলে থাকা সতর্কতা,
বালিতে গভীর ছাপ তোমার গৃহহীন গোড়ালীর ,
এ ছিল তোমার বিলাসী আত্মবিশ্বাস।
তার এই সব কুয়াশায় নুইয়ে পড়া সবুজ মাঠ আর পাখিদের যতকথা ,
এক সাথে বেঁধেছি পাতার ঝরে পড়া ভোরে,
একদিন যারে বলেছি ভালোবাসি কৃষকের মত নতজানু সুরে,
অসময়ে ফসলের মাঠে।

ব্যাক্তিগত

তোমার জন্য আমার কিছু প্রহর ছিল,
উপেক্ষায় সে এখন ব্যাক্তিগত ।
যার প্রান্ত জুড়ে আমি শ্যমল পরাগে লিখতে চেয়েছি বালুচরি ঝরনা ।
রিনি ঝিনি গহন সুখের সুনন্দা।
প্রশান্তি পছন্দ ছিল না তোমার।সুখের পায়রা খুঁজেছ কেবল।
অনাবিল বিশ্বাসে আত্মহননে বড় সুখ তোমার।
শ্বাসনালী ঘেরা কুলীন কষ্টরা একদিন জানতে চাইবে তোমার কি ছিলনা।
চিক চিক হেমন্তের রোদ্দুর, নীল আকাশ ছাদের কোনায়
তবু উড়ান বাতাসে মনের মাহাত্ম্য ওড়ালে আঁচল।
এক এক করে সুখের তোড়ে ভাঙবে দেয়াল সবটুক শরীর।
স্মৃতির কাছে হবে নিথর সমর্পন।নিয়ে নেবে ভার।
জলকনার মত গড়িয়ে পড়া বিন্দুতে হবে পাতার উল্লাস।
স্নেহভরে তর্জনী খুঁজবে কষ্টের দাগ ,সারারাত।
মাঝ রাতের মাঝামাঝি তোমার নির্ঘুম ফেরা,
শরীরে ক্ষত সাথে তৃপ্তির দাগ।
স্থির পথে পুষ্পের কোলাহল না এল সৌরভে,
শক্ত গুটির বড় বেহিসেবী চাল,
চলো উঠি দায়সারা পূর্নিমার ডাকে,অমাবস্যা বুকে বাচিঁ বহুকাল ।

যদি আসি আর

একলা নদীর অনেক ধারা ,ভালো থেকো তুমি নদী,
বহমান তুমি সাথে নিও সময়ের হাত ঘড়ি।
আমি ধীর মেঘে ঢাকা তল দেখি আয়নায়
পাড় ভাঙা জল ধরি বুকে, দেখা হবে মোহনায়,
পায়ের পথে এলোমেলো প্রান আমি দুর্বায়
কিছু নেই, ধার নেয়া শিশিরে ধোয়াবো পা,
মুছে নিও কষ্ট বিকেল মখমলে নির্ভয়,
করুনার কাছে না খুঁজি জন্মের যোগ ,বৈশাখী বর,
অনির্বান আলো নিয়ে যেন ফিরি, যদি আসি আর।

একলা নিঝুম রাত

এই বসন এই মাটি এই একলা নিঝুম রাত ,
এই সব একাকী নির্জন পরশ
তুলতুলে মোমের মত শরীরে লেগে থাকা জল।
ঘাম হীন শরীরে হঠাৎ জেগে ওঠা সাধ।
যেখানে ঢেউ ওঠে ,বাঁশের মাথার মত ঝুকে অাসে। বুকে রংধনু অাঁকা অাকাশের মত ঢেউয়ে।
শিরায় শিরায়।
অথবা সেই সব মাঠ যেখানে একদা রোূদ্দুর দিয়ে যেত হানা বারোমাস
তোমার দৃস্টির মত দিয়ে যেত ছায়া,
মমতা হয়ে নামত বিকেল।
সমুদ্রের মত ।শ্মশানের মত। ফেলে দিয়ে কলরব।
সব ভুলে একদিন ওরা চলে গেলো ,
সব ইচ্ছে ফেলে বহুদুর অবহেলে।
সব হিসেবের খাতা বুকে নিয়ে যে পথ দাড়িয়ে থাকে সন্ধে বেলা,
ভেজা বকুলের মত নত স্বরে কাঁদে।
ডাকে মন কাড়া সুরে।
ঝি ঝি পোকার মত এক সুরে ,
গ্রামের ঝোপে মরা খাল অার পুকুরের পাশে।
সে পথ ও তুমি দিয়েছিলে ভালোবেসে শালুকের কালো খোসা ফেলে।
হাঁসের পালকের মত কথা রেখেছিলে শীতে। দিয়েছিলে সুখ কতবার সময়ের ত্বকে।

ভালবাসি বলেছিলো কেউ

শ্রাবনের স্রোতে
কাঁদা অার জলের মত 
ছোট ছোট ঢেউ,
ভালবাসি বলেছিলো কেউ
পাখির শরীর হতে 
খসে পড়া পালকের
মত নরম,
উজান টানে
বয়ে যাওয়া ভুল
তোমার পায়ের বাঁধ এ
জমা ছিল সহস্র বছর।
তুমি স্রোতের মুখে
ছেড়ে দিলে পলি
জমাট জল
অার ইচ্ছে অতল।
তার পর অামি
বয়ে চলি
একা অনন্তকাল
কখনো নদী
কখনো সমুদ্র
কখনো চোখের জল।

শিশিরে ভেজা একটি ভোর

বিকেল টা কই
দেখছি না অাসে পাশে।
থৈ থৈ সুখে ভিজে একাকার।
কত বার বলেছি সকাল গুলো
বিকেল গুলো দুপুর গুলো তুলে রাখো।
তুমি শুধু রাত গুলো গুছিয়ে রাখো
অন্ধকার কে অলোদিয়ে সাজাও।
বসে বসে রাতের কোলে।
মনে অাছে সেই দুপুর টা,
কোথাও দেখছি না অার
রোদে পিচ পুড়ছে রাস্তায়
তোমার গালের ফুটপাথ চুলে একাকার
তবু হাসিতে বরপ কুঁচি
কোথায় রেখেছ সে দুপুর
একটু খোঁজ
রাস্তার দাগ লেগে থাকা পোড়া হাতের অাশে পাশ।
অথবা রোদের দাগ পড়া তোমার চিবুক।
বিকেল গুলোও ঠিক হারাবে তুমি
তির তির দিঘীর বুকে লেগে থাকা বাতাসের মত
যে বিকেল বলেছে কতবার
দুপুর শেষে অামরা অামাদের মত শান্ত।
বাদামের খোসায় খোসায় পাতলা বাদামী সুখ,
তোমার চেয়ে থাকা একটাই মুখ।
সেই সন্ধ্যাটা কোথায়? ঐ যে
একটা বিকেল শ্রাবনে ভিজতে ভিজতে
কফি কাপে সন্ধ্যা দিয়ে গেলো
তার পর একাকার অামাদের উত্তাপ ।
যে শ্রাবন জুড়ে দেয় সন্ধ্যা বিকেল
তার জন্য অামরা জন্মেছি বার বার।।
ভোর গুলো একটু সাবধানে সাজাও
ঘন কাঁচের মত স্বচ্ছ
শিশিরে মাখা কোন পাহাড়ী পাপড়ি।
পথের ধুলো উড়বে একটু পর
একটু পর অালো এসে মুছে দেবে দেহ।
যেমন অামরা ভেংগেছি অামাদের
গাড় কোন শব্দে ভেংগে যাওয়া
জানালার কাঁচ। অসংখ্যবার।
তবু কুমারী দৃস্টির মত নম্র
তোমার শিশিরে ভেজা একটি ভোর।
তুলে রেখো।

অতৃপ্ত পথিক

অনন্তকাল মানুষ খেলা করে কিছু শব্দের সাথে। কিছু বোধের সাথে।বোধের পদ্মরা ওঠেনামে জীবনভোর।কিছু কিছু মুহুর্ত শুরু হয় অনাবিল ভালো লাগা দিয়ে।একদিন সে ফিকে হয় অথবা অধিকতর ভালো লাগার জন্ম দেয়। মানুষ তার অজন্ম বোধের কাছে বার বার ফিরতে চায়। ফিরতে চায় শুরুর শুন্যতে,পুর্ন হবার নতুন মাত্রায়। পিছনে ফিরতে চাওয়া মানুষের এক বড় দুর্বলতা।পরিবর্তন মানতে পারার মধ্যে হয়ত এক বাস্তবতা বোধ অাছে। সচরাচর মানুষ তাকে অত্মস্ত করতে পারে না। তবু জীবন ক্রমশ নতুন পথে এগোতেই থাকে। নতুন সময় পুরোনো সময় কে বেশী করে বুঝতে সাহায্য করে।সুখ সময়ের মত অাগামী কে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে ভালো বাসে। মানুষ স্বপ্নময় পথের এক অতৃপ্ত পথিক।

নগ্ন লতার টানে

কিছু শুকনো পাতাও ঝরে নিয়ে সজীব প্রান
যেখানে শুরু সেখানে অনিন্দ্য শেষের সমাহার
কাল বেলায় ডাক দেবার অাগে যে 
কোকিল থামে নিঃশব্দ ডালে
পাতায় পাতায় থাকে তার একাকী রনন
তখনো বাজে সুরেলা রাগ কিছুক্ষন।
না ডাকলেই না চাওয়া নয়
শব্দহীনতায় থাকে ব্যাকুল বোধ,
মিলনের মুহুর্মুহু অভিপ্রায়,
ভুল পথ ও হয়ে ওঠে চিরকালের,
খন্ডিত সুখ চির বাসনার।
মন থেকে পিছলে পড়া জীবনের বাঁক,
ঝাঁক বেধে চলে যায় দুরে
ভেংগে ভেংগে খুঁজে নেয়া
চেনা মুখ অচেনা রোদে,
খুঁজে ফিরি কোথায় সে জ্যোতির্ময়ী ভোর,
তখনো প্রতীক্ষায় অভিমানি চোখ
তোমাতে খন্ড হীন।
দুচোখ কতটা দেখে সত্যি অালো
মন কতটাই বোঝে সুদক্ষ সুখ।
বার বার ফেরে মানুষ
শুধু কি নির্জন রাত নগ্ন লতার টান ?
একাকী নির্জনে স্নেহহীন প্রগাড় কাঁদাজল,
অথবা নিঃসংঙ্গ নরমে কেঁপে ওঠা,
কেন নয় ভালোবাসা,কেন নয় প্রেমে?

সেই সাঁঝ বেলা

সেই শ্রাবনে জল দিলো যে কলতলা
গায়ের ঘামে শিষ দিল সে ভোর বেলা
পায়ের টানে ছিড়ল খোঁপা 
মেঘের মত মন চলা,
কফির কাপে ঘাম জমা সেই সাঁঝ বেলা।

একাকী দাড়িয়ে রবে

সেই সব তৃনমুল সুখ একদিন বিধুর বৈরাগ্য
দেবে এনে অামাদের অরচিত স্বপ্নের পাড়ে,
লতায় লতায় দেখা হবে
শব্দরা জড়াবে না কথা হয়ে নিকুন্জ শাঁখে।
অামাদের দোটানা পড়ে রবে অনন্তকাল এলোমেলো
নির্জন পাহাড়ী ঝরনার গায়ে।
অাঁচলের কচি জল
পড়েছিল চুঁয়ে একদিন স্বপ্ন হয়ে
ভোরের স্নানে। শুকোবে সে অাটোসাটো গোড়ালীর ধারে।
যেতে যেতে একদিন থেমে যায়
বৈশাখী বোধ, সময় তারে
কেন ফেরাবে হাত ধরে ভালোবেসে।
সবুজ পুড়ে যায় কাঠফাঁটা রোদে।
বিষন্ন জানালায় ক্লান্ত দুপুর শালিক,কখনো দোয়েলের মত
একাকী দাড়িয়ে রবে।

কুড়েঘরটা অাজ অামার মত

গল্প টা সেদিনই শেষ হতে পারতো
যেদিন তুমি প্রথম দেখেছিলে
অামাদের পাহাড়ের পা ছোয়া কুড়ে
ঘরটার পাশে একটি নীল সাপ,
ভীশন অাদরে রোদ পোহাচ্ছে
সকালের কচি রোদ।
তুমি একদম কেঁপে উঠলে না,
তোমার গায়ের লোম গুলো দাড়ালো না,
নির্বিকার তুমি চেয়ে রইলে,
সাপটিও পালাবার কোন পথ খুঁজল না
যেন তোমরা বহুদিন চেনা।
তার পর প্রায় প্রতিদিন
তোমাদের দেখা হোত
কি সব কথা হোতো ছাই পাশ।
তোমার চলনে এলো সর্পিল রং।
নীল সাপটা অারও গাড়ো নীল হতে থাকলো,
তুমি অারও ভয়হীন দিদ্বাহীন হয়ে উঠলে।
একদিন রুপালী চাঁদের অালোয়
তোমার ঘুমের শরীর জড়িয়ে নিলো
নীল সাপ টার বাহু হীন দেহ।
তুমি নিথর ঘুমে জড়িয়ে গেলে
কুয়াশার রাতে।
ভোরের নির্জনতা ভেংগে ছোপ ছোপ নীল
চোখে এসে পড়ে,
ছড়িয়ে এদিক সেদিক সারা গায়।
তুমি তখনো নিথর,
অসাড় দেহ প্রানহীন,
বিষাক্ত লালায় মরনের ঘ্রান।
সাপের শক্তি বিষে তুমিও জানো
তুমি জানতে ওটাই তার ক্ষুধা
ওটাই তার প্রেম।
কতবার তুমি ফিরতে চাইলে
জীবনের কাছে তুমি কতবার সময় চেয়েছ
ফিরবে বলে ভেবেছ
একান্তে কতবার কতদিন।
তবু কি যেন কি ভেবে
তোমার ফেরা হোলো না।
গল্পটা সেদিনই শেষ হতে পারত
নিজের জন্য জীবন তুমিও নিতে পারতে,
ভালোবেসে একরাশ মৃত্যু খুঁজে নিলে
সেদিন তোমার হাতে ছিলো মৃত্যুর বান,
শুরুতে তুমিও পারতে অব্যর্থ নিশানায় ছুড়ে দিতে
সংহারী মৃত্যুর ফাঁদ।
জীবন অার মৃত্যুর মাঝামাঝি
একবার দাড়াতে দৃঢ়তায়,
ভালোবাসাহীন, কস্ট হীন তাচ্ছিল্যের ঘেরটোপে।
কুড়েঘরটা অাজ অামার মত একা হোত না। পাহাড়ের পা ছুঁয়ে।

মনে পড়ে

অনিরুদ্ধ তোমার মনে পড়ে
আলো আর আঁধার নিয়ে আমাদের সেই সব কথা.
তোমাকে আমি প্রায় বলতাম ,
জানলায় দাঁড়িয়ে সিগারেট হাতে আলোর সাথে
তোমার কিসের এত খেলা ?
যে আলো সোজা ছাড়া বাঁকা চলতে জানে না,
পিছনে ফিরে দেখতে পারে না।
যে আলো জড়াতে জানেনা ,
যে আলো কাঁচ ছাড়া কিছুই ভেদ করতে জানেনা ,
তাকে তোমার কিসের এত প্রয়োজন।
বেশ মনে পড়ে তোমার সে হাসি
বলতে আলোহীন পৃথীবিটার কথা ভাবো।
চোখ দুটো বন্ধ করে দেখো একবার ।
আমি তোমাকে বলতাম অন্ধকার কে দেখো
পাপ পূন্য ,বড় ছোট তার কাছে সকলি সমান
অন্ধকার সাম্যের অন্য নাম।
অন্ধকার আছে বলেই না তোমার আলোর এত বাহার।
অন্ধকারের বুক চিরে তোমার আলো সোজা হয়ে দাঁড়ায়
আঁধারের বুক ক্ষত করেই না আলোর জন্ম।
তুমি বলতে কষ্ট হল সুখের সুত্রপাত
কষ্ট নেই, আলো নেই কেবলি অন্ধকার,সে বড় কালো।
মাতৃ জরায়ু ছিড়ে জন্ম নেয় যে প্রান ,
টান টান তীব্র কষ্টের পরই না বিকশিত প্রানের স্পন্দন।
মানুষ কষ্ট পেতে পেতে তবু কেন বাঁচতে চায় জানো ?
অন্ধকারেও কেন সে থামেনা জানো ?
-কেন ? ,
তার স্বপ্নে থাকে একটি আলো ,ফুটফুটে আলো ,
আলোর প্রতি একটি অতল প্রত্যাশা।
এই আলোর স্বপ্ন একদিন তাকে টেনে নিয়ে যায়,
অন্ধকার থেকে দুরে ,বহুদুরে।
তুমি বহুদুর শব্দটা এত উচ্চস্বরে আর জোর দিয়ে বলতে
আমি কেঁপে উঠতাম। গলা শুকিয়ে আসতো আমার।
তোমার শক্ত চোয়াল আরও শক্ত হয়ে উঠতো।
নাহ, অনিরুদ্ধ আমার শুধু আলোর স্বপ্ন নেই,
আমার আলোর জন্য আলাদা ইচ্ছে নেই।
আমি আলো অন্ধকার আলাদা করতে চাইনা
আমি আলো ভালবাসি,আমি অন্ধকার ভালোবাসি।
হ্যা আলো অন্ধকার সমান ভালোবাসি।
তুমি আলো নিয়ে অন্ধকার থেকে দুরে যেও না।
ঘন হয়ে তুমি বলেছিলে।
ভয় পেওনা শেষ হাসিটা তোমার অন্ধকারই হাসবে।
আলো হলো জীবন ,আর অন্ধকার
অনন্ত জীবন।
অনিরুদ্ধ আজ একবার বলো
এ আমার জীবন ? না অনন্ত জীবন ?

প্রিয় অনিরুদ্ধ

প্রিয় অনিরুদ্ধ,

তোমার অামার কবে প্রথম দেখা হয়েছিল।
তোমার হয়ত দিন মনে থাকতে পারে ক্ষন মনে নেই। তোমার ভুলে যাওয়া মন ।
ভুলে যাওয়া তোমার অার পাচটা অভ্যাস এর মত একটি। তুমিই বলতে মানুষ ভুলে যায় নতুন কিছু মনে রাখার জন্য। সব কিছু মনে রাখব মেমরীতে এত স্পেস কোথায়।
তবু কতকিছু তুমি কোনদিন ভোলো নি। ভুলতে না।তুমি কোনদিন ভুলতে পারো নি সেই সব।
অামার ভুল গুলো তোমার বড় প্রিয় ছিলো।
অামার বাজে অভ্যাস গুলো তোমার বড় উপহাসের ছিলো।
কিন্তু অামি চাইতাম অামার ভালো কিছু তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে ঘন হয়ে ছুয়ে থাকা তুমি মনে রাখো। তোমার কাছে দিন শেষে ফিরতে চাওয়া তুমি মনে রাখো ,
অামার ছিটকে যাওয়া তুমি এড়িয়ে চলো।
তুমি প্রায়ই বলতে নদীর স্রোত ই অাসল। ঢেউ হতে পারে দক্ষিনে পশ্চিমে এলো মেলো।
তবু শুধু বহমান স্রোতই নদী।
স্রোতই ই বলে নদী কোন দিকে প্রবাহমান।
তুমি শুধু অামার ঢেউএ দুলেছে।
তুমি অামার এলোমেলো পাড়ে অাঘাত পেয়েছো জানি।
অামার তুমি হয়ে ওঠার বহতা ,
তুমি কোনদিন খুঁজে পাওনি।
অামি তোমাকে মোহনা ভেবে বার বার
মিশতে চেয়েছি।মিশে যেতে চেয়েছি নদীর মত।
ছুটে অাসতে চেয়েছি অামার শৈশব কৈশোর নিয়ে।অামার সত্য মিথ্যা ভুলে।
তুমি শুধু যৌবন দেখেছো।
উষ্নতা খুজেছো অন্ধকারে।
অালোর পাশে অামাকে দাড়াতে সংগী করে নিতে পারো নি।
অাজও অামি একা অালো খুঁজি।
তোমার দেয়া অশালীন অন্ধকারে।
তুমি চলে যাবার কয়েক বছর পর অামি মা হয়েছি।
অামার সন্তানের বাবা অামাদের অাগলে রাখে।
দিন শেষে তার বুকে অামি অাশ্রয়ের চাঁদর খুঁজি।
তবু অামি টের পাই অামার সন্তান তার বাবার মতো নয়। অামার মত নয়।
ওর চলা বলায় কোথায় যেন একটা মর্মান্তিক তাচ্ছিল্য অাছে। যেমনটা তুমি করতে।
ভীশন অাত্মবিশ্বাসী অাক্রমনের ভাষা অামাকে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভীষন নির্দেশ দিতে ভালে বাসে সে।
ভিন্ন যুক্তি সে মানে না। অামি তোমার অসিষ্নুতা দেখি অামার সন্তানের পায়ের ছাপে।
কেউ ওর বন্ধু হয় না। অথচ তুমি জানো অামি মানুষের ভালোবাসা সিক্ত মানুষ।মানুষ ছাড়া চলিনি এক পা।
ছোট বড় সম অসম বয়সী সবাই অামার বন্ধু।
যা নিয়ে তুমি বহুবার বলেছ।
কখনো ক্রোধে কখনো উপহাসে।
অামি অনুনয় করেছি কত।সময় চেয়েছি কত।
তবু তোমার কাব্যে ক্ষমার কোন কবিতা ছিলো না।
প্রতি লাইনের শেষ ছিলো তাই নির্মম যবনিকা।
অাজ ভোরে অামরা সবাই দাজিলিং এসেছি।
এই প্রভাত বেলায় তুমি। ভোর বান্ধব মানুষ তুমি।তবু এই ভোর তোমাকে দেখার এমন ভোর হবে ভাবিনি।
তোমার শিশুদের প্রতি বড় টান ছিলো।
এই একটি যায়গায় তোমার অামার কি করে যেন মিল হয়েছিল।
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে অাজ অামার সন্তান কে দেখি তোমারা হাতে হাত রেখে হাটছো দুজনে।অামি চিনতে পারিনি দুর থেকে।
ভেবেছি শিশুদের সবাই ভালো বাসে হয়ত এমন কোন কেউ।
কিন্তু তোমার হাত ধরার সেই ঘন মমতা।
চলতে চলতে থমকে যাওয়া।
অার ঘুরে দেখা প্রত্যয়,
অামাকে অাবার নিস্ব করে দিলো।
অনিরুদ্ধ তুমি মুক্তি দিয়েছিলে একদিন বড় অবেলায়। ভুল না হয় অামার ছিলো তোমাকে প্রথমে ভালোবাসার মত মানুষ মনে হয়নি।মানছি ।
তোমাকে হেলা করেছি।মানছি।
তবু অামি যে ফিরতে চেয়েছি বার বার
তোমার জীবন দর্শনে।
তুমি বুঝেছ তবু কেন পারিনি সে সব জেনেও তুমি ক্ষমা করোনি।
মেনে নিয়েছি এ অামার নিত্য গোধুলী।
কিন্তু অামার সন্তানের মাঝে যে তুমি।
যে প্রবল তুমি ,তার হাত তোমার কাছে যতটা সহজ অামার কাছে ততটাই সংঙ্গীন ।
এই পাহাড়ের দেশে ঘুরতে এসে
এত গুলো পাহাড় অামি কি করে পেরোবো জীবন ভোর ।
চিঠিটা এক ফাঁকে তোমার বইয়ের ভাজে অথবা ব্যাগের ভাঁজে রাখতে পারবো এই অাত্ম বিশ্বাস নিয়ে লিখেছি।
তোমার জীবনের ভাঁজ গুলো নিশ্চই এতদিনে মসৃন হয়েছে বলে সাহস করিনি।মুখোমুখি।
বিঃদ্র-পুরোনো বইএর পাতার ভাঁজে পাওয়া চিঠি। নীলান্জনার দুর্ভাগ্য অনিরুদ্ধর চোখে চিঠিটা পড়েনি।তাহলে পুরোনো বইয়ের ভাঁজ হয়ে সে অামার হাতে অাসতনা।

দূর্বা প্রহর

 দূর্বা প্রহর।

আমার হারানোর বাহনেরা তৈরী ।আমি হারিয়ে যাবো,
ভাসোমান আলোতে। দুলতে দুলতে হবো নীরব মুখর।
এপার ওপার দুই পার সাজুক মাধবী লতায়। আমি দুর্বা হবো।
রং হীন দুর্বার ডাক শুনি আমি। ক্রমশ গুটিয়ে আসে শীর্ণ শরীর।
ক্লোরোফিল হারিয়ে আমি ফ্যকাশে হতে হতে একদিন।
মিশে যাবো অপার সুখে তোমাদের পথে।
মেহগনীর মত শক্ত পাত নেই আমার গায়,নিতান্ত কোমল ডাটা ডগা পাতা।
চিক চিক করি বুকে বেধে এক ফোটা শিশির ,
শিশিরের বুকে নামে সূর্য্যের ঢল, আমি কেবল আলোয় ভাসি।
আলো আসে, আলো যায়,তোমার উঠোন শুকায়, আমার সীমানা ভাঙ্গে চৌচির,
তোমার সুর্য্যরা উত্তাপে পুড়িয়ে দিলো গ্রাম,
অামার একান্ত ভিটে মাটি।
আগুন আমার ডগায় ডগায়।
এত আলো এত সুখ এত ভালোবাসা। তারপর তুমি হয়ে ওঠো শক্ত ভুমি।
অসীম আকাশ ডাকে তোমায়,
শিশিরে পিয়াস মেটায় না মানুষ,
তুমিও নির্ভুল।
ভরে নিও প্রান দীঘীর জলে।
শক্তিরা ছড়াক অারও শক্তিশেল।
মৃত্যুর সুখ উড়ে এসে বসে পাশে , প্রস্থান ভালবেসে ডাকে কাছে। প্রতিদিন।
আমার কোষের চারিপাশ ঘিরে ধরে,
আর একটু থাকো প্রানে।
নিশিদিন বিলাপ ফিরে আসে ।
বলে সীমা হীন প্রান চাই ,ব্যাথা হীন বুক চাই ,চাই ধোয়াহীন আলো।
এ পথে কখনো এসোনা তুমি নগ্ন পায়ে ভালোবেসে দুর্বা শিশির ।

জীবন মুছে যায়

যে জীবন মুছে যায় স্রোতে,
তার টানে একদিন ভাসাবো গা,
ভেজাবো দু হাত বেদনার ছলে। 
কাল থেকে সুর্য্য না উঠুক চন্দ্র জেগে থাক
রাত পেলে দিনের জন্য কিসের অজুহাত।
বাতাসে উড়ুক বৈরাগ্য
দিনশেষে তুমিও লিখে দিও
ভোগের অজুহাতে অামি অনিরুদ্ধ।

এই নির্জনে

এই নির্জনে
একটি মাটির দানার উপর একটু মাটি,
দৃষ্টির ফাঁকে একটু বাতাস,
একটু জল
আর একটু আকাশ।
তারপর চুপ ।

নীরব দুপুর
পুড়ে যাওয়া ভূমি
শুকনো পাতার বুক
আর একটু তুমি।

নির্জন পরশ

এই বসন এই মাটি এই একলা নিঝুম রাত ,
এই সব একাকী নির্জন পরশ
তুলতুলে মোমের মত শরীরে লেগে থাকা জল।
ঘাম হীন শরীরে হঠাৎ জেগে ওঠা সাধ।
যেখানে ঢেউ ওঠে ,বাঁশের মাথার মত ঝুকে অাসে। বুকে রংধনু অাঁকা অাকাশের মত ঢেউয়ে।
শিরায় শিরায়।
অথবা সেই সব মাঠ যেখানে একদা রোূদ্দুর দিয়ে যেত হানা বারোমাস
তোমার দৃস্টির মত দিয়ে যেত ছায়া,
মমতা হয়ে নামত বিকেল।
সমুদ্রের মত ।শ্মশানের মত। ফেলে দিয়ে কলরব।
সব ভুলে একদিন ওরা চলে গেলো ,
সব ইচ্ছে ফেলে বহুদুর অবহেলে।
সব হিসেবের খাতা বুকে নিয়ে যে পথ দাড়িয়ে থাকে সন্ধে বেলা,
ভেজা বকুলের মত নত স্বরে কাঁদে।
ডাকে মন কাড়া সুরে।
ঝি ঝি পোকার মত এক সুরে ,
গ্রামের ঝোপে মরা খাল অার পুকুরের পাশে।
সে পথ ও তুমি দিয়েছিলে ভালোবেসে শালুকের কালো খোসা ফেলে।
হাঁসের পালকের মত কথা রেখেছিলে শীতে।

দিয়েছিলে সুখ কতবার সময়ের ত্বকে।

যে জীবন পড়ে ছিল কুয়াশার মত

তার পর একদিন
হেমন্তের পাতা ঝরা নরম রোদে
চোখের তারায় শুকোবে সোনালী স্বপ্নরা।
তোমার ফেলে যাওয়া লাল পাড় অাঁচলে
লেগে রবে বিকেলের খোপায় অসমাপ্ত প্রেম।

সমুদ্র এক বার এসে দেখে যাবে গর্জন হীন
সাথে নিয়ে অাজন্ম তোমাকে চেয়ে
ফেলে অাসা দ্বৈত দুপুর
উষ্ণ কারুকাাজে মুখর রাত্রি তোমার
এক খানা বহুমুখী মৃন্ময় মুখ।
যে জীবন পড়ে ছিল কুয়াশার মত
নিশ্ছিদ্র পাহারায় এত দিন।এতকাল।
দীর্ঘ রাত্রি যে কিশোর ছিল যৌবনের প্রতীক্ষায়
বুকে নিয়ে অধরা সুখ। তুমি তার
রক্তের ধার একাকী না ফোঁটা বকুল
সাথে নিয়ে গেছো ফেলে যাওয়া সমস্থ সুখ।
একবার যে বুকে জেগেছিলো নোনা চর,
জেগেছিল শষ্যের সবুজ মখমলে সাধ,
অবাধ প্রেমের মত শরীর বিছানো ক্লান্তিহীন
বাঁধ ভেঙে দিলো রামধনু ঢেউ,
বালু হয়ে মিশে গেলো স্রোত ঘোলা জলে
সাথে নিয়ে অক্ষম ঝিনুকের বুক,
না ফেরা ধবল মেঘের সারি সারি ঝাঁক,
নিয়ে নীল ক্ষত অপারগ শিশিরের দাগ।

তৃষ্ণা

হারতে হারতে হারিয়ে ফেলি যদি
বুকের ভেতর উছলে ওঠে নদী;
নদীর ভেতর মায়ার কাঁপন ওঠে,
তোমার হাসি ভাসল যখন ঠোঁটে!
তোমার ঠোঁটে স্রোতের উপকথা,
জানলে জানুক আমার নীরাবতা।
জানলে বলো লজ্জা পাবে তুমি?
চোখের বাঁকে তৃষ্ণাকাতর ভূমি।
তৃষ্ণা বাড়ে, তৃষ্ণা বাড়ে নারী
লতিয়ে ওঠে ঘ্রাণের বসতবাড়ি,
শিরায় তোমার প্লাবন যদি আসে
ভাসিয়ে নিও প্রবল জলোচ্ছ্বাসে।

ভালোবাসা


শৈশব ফেলে পালিয়ে অাসা এক কিশোর,
একদিন শাস্ত্রীয় সংগীতের মত জীবন বেছে নিলো ,
স্বপ্নের বুকে কেবলি পতনের  ভাঁজ
যৌবন তার পায়ে একদিন বেড়ি পরালো,
গৃহস্থালীর উঠোন বাড়ীতে সে  নিজেকে হারালো,
বেছে নিলো  শান্তির সুশীতল পাঁটি,
বেছে নিলো তৃষ্ণার জল,
বলে বসল এই কৃষ্ণ সরোবর অামার,
অকস্মাৎ সে ধ্বনি পৌছলো দিগ্বিদিক,
বাস্তবতার সারগাম, অার ভালোবাসার সিম্ফনির মাঝখানে 
তাকে বসানো হোলো,
নেয়া হোলো রিমান্ডে,
তাকে এন্টারোগেট করা হোলো,
তার স্বপ্ন গুলো কে একে একে খুলে নেয়া হোলো,
তারপর সমস্থ অনুভুতির পর্দা উড়িয়ে দেয়া হোলো অট্টহাসিতে,
সে তখন নগ্ন অনুভুতি হীন।
তার যৌবনের সমস্থ অলংকার কে কুৎসিত রং ঢেকে দেয়া হোলো,
অবৈধতার তারে তার জীবন কে ঝুলিয়ে রাখা হোলো,
সম:স্বরে ঘোষনা এলো অন্তিম লগ্ন দেয়া হবে উপহার,
সেই প্রথম শাস্তির নতুন নাম করন হোলো পৃথিবীতে,
উপহারমৃত্যু হোলো উপহার।
জীবনের শেষ রেখা,
শেষ হবে প্রানের চিন্হ যেখানে,
প্রশ্ন করা হোলো তোমার কি ইচ্ছে?
তোমার কি চাই  এই অন্তিমে ?
লির্লপ্ত সে
চারটি অক্ষরে লিখে দিলো শব্দের অমোঘ মহা কাব্য।
পথে প্রান্তরে এখোনো বাজে, -ভালবাসা।
শুধু ভালবাসা চাই।
তারপর ধুঁকে ধুঁকে নুয়ে গেল শির,
দেয়াল থেকে ফিরে এলো শব্দের ঝন ঝন।
এলো ধ্বনিত বিধান -অসম্ভব।
ভালোবাসা কেবলি ভ্রম,
একটি দ্বিমাত্রিক  শব্দমাত্র,